শুনো হে মানুষ ভাই-
সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই।
এভাবেই মানবের স্বরূপ উন্মোচন করেছিলেন মধ্য যুগের মানবতার কবি চন্ডীদাস।
কিন্তু মানুষকে সার্বজনীন কোন যৌক্তিক ও সুনির্দিষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা প্রায় অসম্ভব। কারণ যে কোন সংজ্ঞা- বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ, দার্শনিক মতবাদ এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের দিক থেকে ভিন্ন ভিন্ন রূপ লাভ করবে। বিজ্ঞানও এই মানুষ নামের রহস্যময় প্রানীটির কোন কূলকিনারা করতে পারেনি। মানব অস্তিত্বের তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়ে বিজ্ঞানের অস্পষ্টতা সত্ত্বেও প্রধান প্রধান ধর্মীয়, বৈজ্ঞানিক, দর্শন ও সামাজিক চিন্তা ধারা সমূহ কিছু মৌলিক বিষয়ে একমত।বিভিন্ন পক্ষের মোটাদাগের এই ঐক্যমত্যকে ‘মানবতাবাদ’ হিসাবে আখ্যায়িত করা যেতে পারে। এই অর্থে মানবতাবাদ এমন এক আদর্শ যার ঘোষিত মৌলিক লক্ষ্য হলো মানুষের মুক্তি ও উৎকর্ষতা অর্জন করা।এটি মানুষকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সত্তা হিসাবে চিহ্নিত করে এবং মানুষের মৌলিক প্রয়োজন মেটানোর উদ্দেশ্যে তার যাবতীয় মূলনীতি নির্ধারণ করে।
অনেকে মানবতাকে আরও বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। যেমনঃ
মানবতাবাদ হচ্ছে একটা পার্থিব জীবন দর্শন যা যুক্তিতর্ক, নৈতিকতা ও সুবিচার কে ধারণ করে এবং বিশেষতঃ নৈতিকতা ও সিদ্ধান্ত প্রনয়ণের ভিত্তি হিসাবে অলৌকিকতা ও ধর্মীয় বিশ্বাসকে প্রত্যাখ্যান করে।
অপরপক্ষে, মানবতাবাদ একটি গণতান্ত্রিক ও নৈতিক জীবন দর্শন যা দাবি করে যে মানুষের অধিকার ও দায়িত্ব রয়েছে নিজ জীবনকে অর্থপূর্ণ করে তোলার ও তার গতিবিধি নির্ণয় করার। মানবতাবাদ বিশ্বাস করে যে মানুষ যুক্তিবাদ ও মুক্তচিন্তার প্রয়োগ করে একটা অধিকতর মানবীয় সমাজ প্রতিষ্ঠা করার সামর্থ্য রাখে। যার ভিত্তি হবে মানবীয় ও অন্যান্য প্রাকৃতিক গুণাবলীর।যা ধর্মীয় নয় এবং অবাস্তবতার অলৌকিক ধারণা গ্রহণ করে না।
মানুষকে যেমন একটি নির্দিষ্ট গণ্ডিতে আটকে রাখা যায় না তেমনি মানবতাবাদের ও নানা মতবাদ রয়েছে।
প্রাচীন গ্রিক মানবতাবাদ খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের প্রাক সক্রেটিস দার্শনিক থেলিস প্রথম পুরাণ ও প্রথার সাহায্য ছাড়া স্রেফ যুক্তি দিয়ে বস্তুজগতকে ব্যাখ্যা করার প্রয়াস নেন।তাকেই প্রথম মানবতাবাদি বলা যায়।থেলিস ঈশ্বরের ধারণা কে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিলেন এবং তার সময়কার ঈশ্বরদের প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
এই দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে গ্রিক মানবতাবাদ ঈশ্বরকে অস্বীকার করা,ঈশ্বরের বিধি বিধানের উপর অনাস্থা স্থাপন করা এবং মানুষ ও ঈশ্বরের মধ্যকার বন্ধনকে ছিন্ন করার মাধ্যমে সম্পূর্ণরূপে মনুষ্য কেন্দ্রিক বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তোলার চেষ্টা করে।এই ব্যবস্থায় মানুষই হলো সত্য মিথ্যা যাচাইয়ের মাপকাঠি। মানুষই হল সৌন্দর্যের মানদন্ড।এতে জীবনের এমন সব বিষয়ের উপর জোর দেওয়া হয় যেগুলো নিছক মানুষের শক্তিমত্তা ও বৃত্তি চরিতার্থ হয়। যেহেতু এই মনুষ্যকেন্দ্রিকতা ও তার বিপরীত অবস্থান নিয়েছে তাই মানবতাবাদ বস্তুবাদের দিকে ঝুঁকে পড়েছে।
প্রাচীন এশীয় মানবতাবাদ অলৌকিকতা বিরোধী মানবকেন্দ্রিক চিন্তাভাবনা ভারতীয় দর্শনের লোকায়ত ব্যবস্থায়ও দেখা যায়। প্রায় ১০০০ খ্রিস্টপূর্ব বছর পুরনো। খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে গৌতম বুদ্ধ অলৌকিকতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন।চীনের কনফুসিয়াস ধর্মনিরপেক্ষ নৈতিকতার শিক্ষা দিতেন।
মধ্যযুগীয় আরব মানবতাবাদ অনেক মধ্যযুগীয় আরব চিন্তাবিদরা জ্ঞান অন্বেষণের মানবতাবাদি বৈজ্ঞানিক এবং যুক্তিবাদী পদ্ধতি অনুসরণ করেছিলেন।সাহিত্য, ইতিহাস এবং দার্শনিক ধর্মতত্ত্বের উপর অনেক আরব রচনা ইঙ্গিত করে যে তৎকালীন মুসলমান বিশ্বে ব্যক্তিত্ববাদ এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে ধর্মনিরপেক্ষতা, সংশয়বাদ ও উদারপন্থী মতবাদের অস্তিত্ব ছিল।মধ্যযুগীয় মুসলমান বিশ্বের উন্নতির পেছনে আরেকটি কারণ ছিল মত প্রকাশের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা।
সাহিত্যে মানবতাবাদ হলো সাহিত্য সংস্কৃতিতে একনিষ্ঠতা। বুদ্ধিবৃত্তিক জ্ঞান লাভের মাধ্যমে উন্নত লেখনী ও ভাষাশৈলী এর অন্যতম উপাদান।
রেনেসাঁ মানবতাবাদ হলো শিক্ষার মনোভাব যার মাধ্যমে মধ্যযুগের শেষে পুনর্জাগরণ এবং বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় সত্য ও মিথ্যার প্রভেদ নির্ধারণে মানুষের ক্ষমতা নতুন করে আস্থার সাথে বিকশিত হয়েছিল।
পশ্চিমা সাংস্কৃতিক মানবতাবাদ মূলত প্রাচীন গ্রীস এবং রোমে উদ্ভব হয়েছিল। পরবর্তীতে গোটা ইউরোপে বিকশিত হয় এবং বিজ্ঞান, রাজনৈতিক তত্ত্ব, নীতিশাস্ত্র এবং আইনের ভিত্তিতে পশ্চিমা পদ্ধতির একটি মৌলিক অঙ্গ হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে।
দার্শনিক মতবাদ হলো মানুষের প্রয়োজন এবং আগ্রহ কে কেন্দ্র করে জ্ঞানভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং ন্যায়ভিত্তিক জীবনযাত্রার সমাজব্যবস্থা।
ক্রিশ্চিয়ান মানবতাবাদে খ্রিস্টধর্মীয় নীতিগুলির কাঠামোর মধ্যে মানুষের আত্ম পরিচয় অনুসন্ধানের জীবন দর্শন।
আধুনিক মানবতাবাদ যাকে বৈজ্ঞানিক,নৈতিক এবং গণতান্ত্রিক মানবতাবাদ বলা হয়।একে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে এমন একটি প্রাকৃতিক দর্শন দ্বারা যা সমস্ত অতিপ্রাকৃত সত্তাকে প্রত্যাখ্যান করে। মূলত বিজ্ঞান, গণতন্ত্র, নৈতিকতা এবং ধর্মনিরপেক্ষতা এর আদর্শিক উপজীব্য।
ধর্মনিরপেক্ষ মানবতাবাদ অষ্টাদশ শতকের আলোকিত যুক্তিবাদ এবং ঊনবিংশ শতাব্দীর মুক্ত চিন্তার বহিঃপ্রকাশ।অনেক ধর্মনিরপেক্ষ গোষ্ঠী যেমন সেকুলার হিউম্যানিজম কাউন্সিল এবং আমেরিকান রেশনালিস্ট ফেডারেশনের দার্শনিক এবং বিজ্ঞানীরাই এই মতবাদের পক্ষে ছিলেন।
ধর্মীয় মানবতাবাদ মূলত নৈতিক সংস্কৃতি,একাত্মবাদ এবং সর্বজনীনতা থেকে উদ্ভূত হয়েছিল।
সমসাময়িক মানবতাবাদ মানুষের ক্ষমতা সম্পর্কে আশাবাদী; কিন্তু মানবতাবাদ বলেনা-মানুষ প্রকৃতিগতভাবেই নীতিবান অথবা কোন প্রকার সাহায্য ছাড়াই মানুষের পক্ষে নৈতিক উৎকর্ষ লাভ করা সম্ভব। মানবতার প্রধান লক্ষ্য হলো মানুষের উন্নতি সাধন করা।যেখানে ধর্মের লক্ষ্য হল ঈশ্বরের বন্দনা করা। জীব জগতের সবচেয়ে সচেতন প্রাণী হিসেবে সব অনুভবক্ষম এবং অবশেষে পৃথিবীর মঙ্গলের জন্য কাজ করা অর্থাৎ মানবতাবাদি কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য হলো এই জীবনটা সুন্দর ভাবে যাপন করা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য মনোরম পরিবেশ রেখে যাওয়া।
রাজনৈতিক দর্শনের জায়গায় মানবতাবাদ ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও দায়িত্ববোধ, মানবিক মূল্যবোধ ও সহানুভূতি এবং সহিষ্ণুতা ও সহযোগিতায় গুরুত্বারোপ করে। পাশাপাশি কর্তৃত্ববাদী বিশ্বাসকে খারিজ করে। নৈতিক প্রশ্নে মানবতাবাদ মানুষের মর্যাদা এবং কদর নিশ্চিত করতে চায়। ন্যায় ও অন্যায়ের ফায়সালার ক্ষেত্রে ঐশী মূলনীতিকে প্রত্যাখ্যান করে যুক্তি-বুদ্ধির উপর নির্ভর করে ধর্মীয় বিশ্বাস ছাড়াই মানুষ নৈতিক ভাবে জীবন যাপন করতে পারে। ইতিহাসের শিক্ষা, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও চিন্তায় মানুষ তাদের নৈতিক আইন কানুন প্রণয়ন করতে সক্ষম এ মতবাদটি এমন বিশ্বাস পোষণ করে।
মানবতাবাদের সাধারণত ঐক্যমত্য অনুযায়ী মানুষের মৌলিক মানবীয় বৈশিষ্ট্যগুলি হচ্ছে্ঃ
১।মানুষ হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সত্তা। সমস্ত প্রাকৃতিক ও অতিপ্রাকৃতিক সত্তা গুলোর মধ্যে মানুষ হচ্ছে স্বাধীন ও মর্যাদা সম্পন্ন।
২।মানুষের আছে স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি। এটি তার সবচাইতে অসাধারণ ও ব্যাখ্যাতীত একটি ক্ষমতা। এর মাধ্যমে কার্যকারণের ধারাবাহিকতার মৌলিক ও স্বাধীন সত্তা হিসাবে মানুষ নিজের অবস্থান গড়ে তুলেছে। যার ফলে বিশ্ব প্রকৃতি, ইতিহাস এবং সমাজ হয়ে পড়েছে তার উপর নির্ভরশীল। স্বভাবতই মানুষ বিশ্বপ্রকৃতিতে হস্তক্ষেপ করে এবং এর নির্ণায়ক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়।
৩।মানুষ সচেতন সত্তা। এটি তার অন্যতম গুণ। এই সচেতনতা তাকে চিন্তাভাবনা করার বিস্ময়কর ক্ষমতা প্রদান করেছে।ফলে সে বহির্জগতের বাস্তবতা বুঝে জগতের দুর্বোধ্য রহস্যের সমাধান করতে পারে। সে কেবল ইন্দ্রিয় গ্রাহ্য বিষয় ও ফলাফলের উপর সন্তুষ্ট থাকে না বরং ইন্দ্রিয়াতীত বাস্তবতাকেও বুঝতে চায়। এভাবে সেই বোধের সীমানা ছাড়িয়ে অতীত ও ভবিষ্যতের সাথে সাময়িক বন্ধনকে অতিক্রম করে যায়।
৪।মানুষ আত্মসচেতন সত্তা। এর মানে মানুষই একমাত্র জীবিত সত্তা যার নিজের অস্তিত্ব সম্পর্কে জ্ঞান রয়েছে। নিজেকে পর্যালোচনা করতে সক্ষম হওয়ায় সে নিজেকে বিশ্লেষণ করতে পারে।এর মাধ্যমে তার সীমাবদ্ধতাগুলো অতিক্রম করে স্বাধীন সত্ত্বায় নিজেকে রূপান্তর করতে পারে।
৫।মানুষ সৃজনশীল সত্তা। এই গুণটি তাকে প্রকৃতি থেকে একেবারে আলাদা করে দিয়েছে। সে যা চায় তা যদি প্রকৃতির মধ্যে না থাকে তবে সে তা তৈরী করে নেয়।
৬।মানুষ আদর্শবাদী সত্তা। আদর্শের পূজারী।এ কথার মানে হল যা কিছু বিদ্যমান আছে তা নিয়ে সে মাথা ঘামায় না। বরং যা হওয়া উচিত; বিদ্যমান অবস্থাকে সেই কাঙ্খিত লক্ষ্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য সে চেষ্টা করে যায়। এর মাধ্যমে সে প্রমাণ করে – সে হলো একমাত্র সত্তা যে তার পারিপার্শ্বিক দ্বারা সৃষ্ট নয় বরং সে নিজেই তার পারিপার্শ্বিক নির্মাণ করে।
৭।মানুষ নৈতিক জীব। এখানেই তাৎপর্যপূর্ণ মূল্যবোধের বিষয়টি চলে আসে ।মূল্যবোধের প্রশ্নে উপযোগীতার চাইতে উদ্দেশ্যটা মহৎ কিনা সেটাই প্রধান বিবেচ্য বিষয়।
পশ্চিমা বুর্জোয়া লিবারিজম এবং মার্কসবাদ অনুযায়ী উভয় মতাদর্শই মানবতাবাদের দাবিদার। বুর্জোয়া লিবারিজমের দাবী হল তারা মানুষকে মুক্ত চিন্তা করার সুযোগ করে দিয়েছে এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করেছে আর মার্কসবাদের দাবী হল, বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াই ও অর্থনৈতিক উৎপাদনের মাধ্যমে মানুষের প্রতিভা বিকশিত হবে। পাশ্চাত্য বুর্জোয়া লিবারিজম নিজেকে যেভাবে মানবতাবাদি,সংস্কৃতির ঐতিহাসিক উত্তরাধিকার বলে মনে করে;মার্কসবাদও সেভাবে মানবতাবাদের রূপায়নের মাধ্যমে পরিপূর্ণ মানুষ হওয়ার পথ দেখানোর দাবি করে।অস্তিত্ববাদও এমন ধরনের একটি মানবাধিকার। এটি বরং মানবতাবাদের অধিকতর শক্তিশালী প্রতিনিধি হওয়ার দাবিদার।
এই তিনটি তত্ত্ব বা ধারার বাইরে চতুর্থ একটি বিশাল বুদ্ধিবৃত্তিক ধারা রয়েছে। এসবের তুলনায় পুরনো এবং যার শেকড় অনেক গভীরে প্রোথিত। সেটি হলো ধর্মীয় মানবতাবাদ।বিশ্বের প্রত্যেক ধর্ম যেহেতু ঘোষণা করে যে-তার মিশন হল মানুষকে চূড়ান্ত মুক্তির পথ দেখানো, তাই মানবজাতিকে বুঝার জন্য এদের প্রত্যেকেরই নিজের মতো করে রয়েছে নৃতাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গি। মানুষ বলতে কি বুঝায় তা পরিষ্কার না করে মানুষের মুক্তি নিয়ে কথা বলা সম্ভব নয়। তাই সকল ধর্মের শুরু হয় সৃষ্টিতত্ত্ব ও মানব সৃষ্টি-দর্শনের প্রসঙ্গ দিয়ে। আজকের দিনে বিশ্বব্যাপী প্রভাবশালী এই চারটি বুদ্ধিবৃত্তিক ধারার প্রত্যেকটি মানবতাকে তাদের নীতি কিংবা প্রধান বৈশিষ্ট্য হিসেবে গ্রহণ করেছে। এগুলোর প্রত্যেকটি নিজের সম্পর্কে এমন দাবী করে যে তার দেখানো পথে অগ্রসর হলেই কেবল সফলতা আসবে।
মানবতার প্রথম-প্রধান এবং একমাত্র উপাদান মানুষ। এ নিয়ে ত্রয়োদশ শতকে বাংলাদেশে শুরু করেছিলেন বঙ্গ সন্তান চন্ডীদাস আর বিংশ শতাব্দীতে রূপায়িত হয়েছে নজরুলের হাতে।
-গাহি সাম্যের গান,
মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই,
নাই কোন মহীয়ান।।